live news 24
বেসামরিক অঞ্চালে যুদ্ধ ক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে-ইউক্রেন
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বেসামরিক এরিয়ায় হলো অধিক যুদ্ধ। ইউক্রেনের পূর্ব অঞ্চলের প্রতিদিনকার হামলা দিচ্ছে তার প্রমাণ।
এইরকম অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে দেশটির সেনা স্থাপন এবং সম্ভাব্য তথ্যদাতাদের নিয়ে। দনেস্ক অঞ্চলের বেসামরিক স্থানেই পাওয়া গেছে এসব হামলার প্রমাণ। তবুও কোনো সেনা মোতায়েনই করা হয়নি সেখানে। খবর এএফপির। ক্রামাতোস্কের ৮৫ কিমি. সরে অবস্থিত পোকরোভস্কে অতীতের সপ্তাহে ১টি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে ডজনখানেক ঘড়বাড়ি। রুশ সেনারা অধিকার করতে ইচ্ছুক জায়গাটি। কস্তিআন্নিতইভকা, তোরেস্ক, ক্রামাতোরস্ক অঞ্চলেও দেখা গেছে একি দৃশ্য।অপর দিকে, ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশকেই বেসামরিক স্থানে সেনা মোতায়েন করে, নাগরিকদের ঝুঁকিতে ফেলায় নিন্দা পাবলিশ করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিউমেন রাইটস ওয়াচ। এ মাসের রুশ সেনাবাহিনীর চারটি ও ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর তিনটি ঘটনার যোগসূত্র ধরে এ কথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়, ‘রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনী নিজেদের ঘাঁটি বেসামরিক জায়গায় স্থাপন করে ইউক্রেনীয় বেসামরিকদের কোনো কারণ ছাড়া ঝুঁকিতে ফেলেছে।’দনেস্কের প্রাদেশিক শাসনকর্তা পাভলো কিরিলেনকোকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন, ‘এটা যুদ্ধ। এইখানে আমাদের বাড়ি ও অবকাঠামোর ধ্বংস এড়ানো অসম্ভব। শত্রুকে থামানোই আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ কাজ।এ সময় নানারকম অবকাঠামো ধ্বংস থেকে পারে। এই যুদ্ধ অন্য কোনো পদ্ধতিতে করা সম্ভব নয়।’ক্রামাতোরস্কের দ্বিতীয় সুবিশাল বিদ্যালয় ধ্বংস হয়ে গেছে একটি হামলায়। আরও সাতটি স্কুলেও হয়েছে হামলা। যুদ্ধের প্রথমে ত্রাণ ফান্ড পরিমাণে ব্যবহার করা হতো স্কুলগুলোকে। ৭০ বছর বয়সি লেদ অপারেটর ইভগেন বলেন, ‘রুশরা ইউক্রেনীয় সেনাদের খুঁজছে।আমি জানি না তারা এখানে থাকতেন কিনা। তবুও আমি তাদের প্রায়ই স্কুলের ভেতর যাওয়া আসা করতে দেখেছি। আর আমাদের এই অঞ্চলে প্রচুর ‘ভালো উদ্দেশ্য’ শেষ লোক আছেন যারা রুশ সেনাদের হেল্প এবং ইনফরমেশন দিতে ইচ্ছুক।
live news 24
ওপর দিকে নাটালিয়ার তিনজন সন্তান এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে অভিভাবকদের একটি গ্রুপের অংশ তিনি। সেখানে মানুষের পরস্পরের কথাবার্তা স্মরণ করে নাটালিয়া বলেন, ‘কারা রাশিয়ার পক্ষে এবং কারা বিপক্ষে সেটা অনেক ভালো করেই বোঝা যায়।’এখন যতবার রুশ হামলা হয় তথ্যদাতাদের কথা সবার প্রথমে মাথায় আসে এসব এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের। এরূপ একজন সাগরিক কিরিলেনকো।উনি বলেন, ‘আমি ভাবি প্রত্যেকবার কেমন করে তারা আমাদের সেনাদের অবস্থান খুঁজে পায়? পর্যাপ্ত মানুষই রুশ দখলদারিদের জন্য অপেক্ষা করছেন অধীরভাবে। তারা জানেন এটি দেশদ্রোহিতা। পরে আফসোস করবেন তারা।’ এ কারণে, যুদ্ধক্ষেত্রের বদলে অধুনা নাগরিকদের আবাসস্থলেই বেশি লক্ষ্য যাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনাদের।এদিকে, যুদ্ধের জন্য ভাড়াটে সৈনিক ইউজ করছে রাশিয়া। যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ করার জন্য ওয়্যাগনার গ্রুপের ভাড়াটে সেনাদের প্রতি আশ্রিত হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। ছয় মাসের দ্বারপ্রান্তে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত। ইতোমধ্যেই রুশ সেনাদের উপর সৃষ্ট চাপের প্রতিছবি পরিমাণে নোটিশ হলো এটি।
এর প্রথমে কক্ষনো যুদ্ধক্ষেত্রে ভাড়াটে সৈনিক ইউজ করেনি রাশিয়া। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১টি ইনটেলিজেন্স প্রতিবেদনে পাবলিশ করা হয়েছে ঘটনাটি। এ বিষয়ে, অধুনা পর্যন্ত ক্রেমলিন ও ওয়্যাগনারের হতে কোনো বিবৃতি সংগ্রহ করা যায়নি।
More news…
মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ করলো আন্তর্জাতিক আদালত